বিক্রমাদিত্য মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Vikramadithyan Bangla Subtitle) বানিয়েছেন শাকিল মিকু। বিক্রমাদিত্য মুভিটি পরিচালনা করেছেন লাল জোসে। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন ডাঃ ইকবাল কুট্টিপুরম। ২০১৪ সালে বিক্রমাদিত্য মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,৯০৭ টি ভোটের মাধ্যেমে ৬.৭ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি।
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দুর্বার কাজ ও সহজে সমাধা হয়ে যাবে দৃঢ় আত্মপ্রত্যেয় দরুণ। কোথায় কার জন্ম নিয়ে কারো হচ্ছে তা নিয়ে যদি কখনো যদি তার ভাগ্য নির্ধারণ হত তবে আজ আমরা শেখ মুজিব, ঈশ্বরচন্দ্র, শেরে বাংলা, কালাম আজাদ এর মত মহিয়সী ইতিহাসের পাতায় নিজেদের স্তম্ভ বিস্তার করতে পারত না। কারণ জন্মবিচারে নয় মানুষে বাঁচে তার কর্মে। কথায় আছে না, জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল। এই কথার ফলপ্রসূ প্রভাব এখানেই।লাল জোস পরিচয়ে সুদক্ষ একজন মালায়ালাম পরিচালক। যার সিনেমাগুলোতে আমাদের জীবনের সরল বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি তিনি তার সিনে-পর্দায় প্রদর্শিত করেন। এবারের এই বিক্রমাদিত্যান কাজ ও তার তেমন ই ইউনিক এবং হৃদয়স্পর্শী।সিনেমায় লক্ষ্য করা যায়:-গল্পে আসার আগে সিনেমার নামে লক্ষ্য করুন “বিক্রামাদিত্যান” কেন জানি মনে খটকা লাগছে না। একজন মানুষের নামের মধ্যেও কেন জানি দুইটি নামের প্রতিচ্ছবি। আসলেই তাই। গল্প টি ঘিরে উঠেছে বিক্রম ও আদিত্য নামের দুজন বন্ধু ও চির-প্রতিদ্বন্দীর।
বন্ধু ও চির-প্রতিদ্বন্দী দেখে ভড়কে যাইয়েন না আবার! কেননা ওদের সম্পর্ক টা ই এমন। এই দুজনের গলায় গলায় ভাব। আবার প্রতিযোগিতার নামে চির শত্রুতা। দুজনেই লক্ষ্য একটাই যেভাবেই হোক বড় পুলিশ অফিসার হতে হবে। এজন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যেতেও রাজি। জীবনের একমাত্র লক্ষ্যের মত দুজনের ভালোলাগার মানুষ ও এক। তার নাম হচ্ছে দিপীকা। তবে বিক্রমের পুলিশ বাবা পুরনো শত্রুতার জের ধরে আদিত্যের ক্যারিয়ার ধ্বংস করায় উঠে-পড়ে লাগে। প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে বিক্রম কি ছিটকে পড়বে তার লক্ষ্য থেকে???? গল্প খুব ই সাধারণ। তবে প্রদর্শনের ভঙ্গি অভূতপূর্ব। এই কাজে পরিচালক সার্থক বলতেই হবে।মুভির স্ক্রিনপ্লে বলুন কিংবা সিনেমাটোগ্রাফি কোথাও বিন্দুমাত্র ঘাটতি অন্তত আমার চোখে পরিলক্ষিত হয় নাই।মিউজিক ডিরেক্টরের কাজ পরিচ্ছন্ন। মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড কিংবা গান সবকিছুই মনে গেঁথে গেল।
অভিনয়ের প্রসঙ্গে আসলে মূল চরিত্রে দুলকার ও উন্নি মুকুনদান দুজনেই দূর্দান্ত অভিনয় করেছে। এছাড়াও নামিথা তার জায়গায় ভাল কাজ করেছে। বাকি অন্যান্য শিল্পী দের কাজ ও খুব ই ভাল লেগেছে।দুলকার ভক্ত হিসেবে গর্ব করে বলতেই পারি এটি তার ক্যারিয়ারের আরো একটি সেরা সিনেমা। যেখানে তার অভিনয় ও অসম্ভব ভাল মানের ছিল।প্রথম যখন সিনেমাটি দেখলাম ভীষণ মনে ধরে যায়। তার সাথে দুলকার মুগ্ধতা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। নিভিনের ক্যামিও টা সবচেয়ে সেরা কাজে দিছে সিনেমায়।
রিভিউ করেছেনঃ Saifuddin Shakil