ফরেস্ট গাম্প মুভিটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান মুভি ডিরেক্টর রবার্ট জেমেকিস। ফরেস্ট গাম্প গল্পের লেখক ছিলেন উইনস্টন গ্রুম। ফরেস্ট গাম্প আসলে উইনস্টন গ্রুম এর লেখা একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। ২ঘন্টা ২২ মিনিটের এই মুভিটি প্রথম প্রকাশিত হয় ৬ জুলাই ১৯৯৪ সালে। ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে ৮.৮ রেটিং প্রাপ্ত মুভিটিতে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন এর মতো ভোট পড়ে। ৫৫ মিলিয়ন বাজেটের ফরেস্ট গাম্প মুভিটি বক্স অফিসে ৬৭৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে। মুভিটির সাবটাইটেল করেছেন জনপ্রিয় সাবমেকার সাইমন এলেক্স।
পাঠকরা খুব সহজেই বুঝতে পারছেন কতখানি ভাল একটা ছবি হলে এমন রেটিং আসতে পারে।চলচ্চিত্রটি নির্মান করা হয়েছে লেখক উন্সটম গ্রুমের ২২৮ পৃষ্ঠার উপন্যাস ফরেস্ট গাম্প বই থেকে। সোনালী ডানার চিল ভাই অনুরোধ করেছিলেন ছবিটা দেখে আমার অনূভূতিটুকু প্রকাশ করার জন্য সেই কারণে এই লেখা।সিনেমার অভিনেতা টম হ্যাঙ্ক “বিশাল মাপের একজন অভিনেতা তার অভিনীত দ্যা টার্মিনাল চলচিত্রটি এর আগে দেখেছিলামএবং অতি আবেগে কেঁদেও ছিলাম” যাই হোক ফরেস্ট গাম্প চলচিত্রটি দেখার পর এক বাক্যে যদি বলি তবে “আমার অনুভূতি শুন্য” সমাজের খুব সাধারণ একটা বিষয়কে উপজীব্য করে গল্প গড়ে উঠেছে।একজন অটিস্টিক শিশু যে সমাজের জন্য পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু করতে পারে তা একেবারে পরিচালক সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।জগতের কোন কিছুই যে হেলা ফেলার জিনিষ না তা এই চলচ্চিত্র দেখলে জ্ঞানী মাত্রই বুঝতে পারবে।
আসলে এত সুন্দর করে কিছু কিছু বিষয় পরিচালক রবার্ট জেমেকিস ফুটিয়ে তুলেছেন এক কথায় অনন্য।এই ক্ষেত্রে দু একটা দৃশ্য পটের কথা না বললেই নয়, যখন ফরেস্ট প্রথম নিজ পায়ে দৌড়াতে শেখে সেই দৃশ্যটি আবার গল্পের নায়িকা জেনি যখন সুইসাইড করতে যায় সেই দৃশ্য, হাসপাতালে লেফটেনেন্ট ড্যান যখন ফরেস্ট কে রাতের বেলায় জাপ্টে ধরে তার রাগ অভিমান কষ্ট গুলো প্রকাস করে,ছবির শেষের দিকের দৃশ্য যখন নায়িকা জেনি যখন ফরেস্টকে,ফরেস্ট জুনিয়র এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।আসলে অসাধারণ সেই মুহূর্তগুলি।
অভিনয়ের কথা আর কি বলব টম হ্যাঙ্ক অসাধারণ অভিনয় করেছেন(বস মানুষ) তার পাশাপাশি লেফটেনেন্ট ড্যান,সহযোদ্ধা বুবা অনেক অনেক ভাল অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্রে।ছবিটি দেখার সময় আমার বারবার মনে হয়েছে ফরেস্টের সাথে জেনির আবার দেখা হবে তো? এই টেন্সটা আমাকে ভাবিয়েছে!! অনান্য সিনেমা দেখার সাথে সাথে যেমন পরের দৃশ্য কেমন হবে বলা যায় এখানে কখনোই তা মনে হয় নি।
এতক্ষন তো অনেক প্রসংশা করলাম এইবার একটু দোষ বলি সমগ্র ছবিতে অনান্য অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা যত সুন্দর অভিনয় করেছেন সেই তুলনায় নায়িকা জেনির অভিনয় খানিকটা ম্লান মনে হয়েছে।এটা নিতান্তই আমার অভিমত।কেউ কেউ দ্বিমত পোষন করতেই পারেন কারন আমি চলচ্চিত্র বোদ্ধা নই। যারা ক্লাসিক মুভি দেখেন বা মুভি দেখতে পছন্দ করেন তারা দেখতে পারেন।আর যাদের ভালবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে গেছে তারা এই চলচ্চিত্র দেখে নিজের ভালবাসার জোর বাড়াতে পারেন। সত্যিকারের ভালবাসা ফিরে আসে, ফিরে আসতে হয়।