বান্ধবী মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Bandhobi Bangla Subtitle) বানিয়েছেন ধুপছায়া খেলা। বান্ধবী মুভিটি পরিচালনা করেছেন শিন ডং-ইল। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন লী চ্যাং-ওন, শিন ডং-ইল। ২০০৯ সালে বান্ধবী মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৩৫৬ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.১ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি।
মোহাম্মদ মোস্তফা বিন হাদি করিম চট্টগ্রামের ছেলে। ভাগ্য ফেরানোর আশায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমায়। শুরু হয় বিদেশের মাটিতে কষ্টকর জীবন। পদে পদে শিকার হতে হয় প্রতারণার। সেখানে তার কয়েক মাসের বেতন পরিশোধ না করেই তার মালিক অন্যত্র চলে যায়। করিম খুব বিপদে পড়ে যায়। কারণ দেশ থেকে তার বউ টাকার জন্য বারবার ফোন দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে বলে দেয় যদি টাকা না পাঠায় তাহলে সে চলে যাবে। আবার অন্যদিকে তার ভিসার মেয়াদও প্রায় শেষের দিকে। আর মাত্র এক মাস বাকি আছে। সব মিলিয়ে তার খুব দ্রুত টাকা প্রয়োজন। তাই সে তার বসকে খুঁজতে শুরু করে।
তার বসকে খুঁজতে গিয়ে তার সাথে বাসে দেখা হয় কোরিয়ান স্কুলছাত্রী মিন-সু’র সাথে। করিম বাসে তার মানিব্যাগ হারিয়ে ফেললে পাশের সিটে বসা মিন-সু সেটা পেয়ে নিজের কাছে রেখে দেয়।একটু পরেই করিমের কাছে সে ধরা পড়ে যায়।করিম প্রথমে তাকে পুলিশে দিতে চাইলেও মিন-সু তাকে বলে এর বদলে করিমেকে সে কোন একটি কাজ করে দিবে।এরপর মিন-সু করিমের বসকে খুঁজে পেতে করিমকে সহযোগিতা করে।পরবর্তিতে এই মানিব্যাগ চোর মেয়েটিই করিমের প্রবাস জীবনের বান্ধবী হয়ে যায়।
মিন-সু’র বাবা নেই।তার মা একটি ক্লাবের ব্যবসা করে এবং তার এক বন্ধুকে পছন্দ করে। যে বন্ধুকে তার মা বিয়ে করবে বলে মনস্থির করেছে। কিন্তু সেই ছেলেটিকে মিন-সু পছন্দ করে না। এটা নিয়ে তার মনে সব সময় খুব অস্থিরতা কাজ করে। তার উপর আবার তার কসমেটিক সার্জারির জন্য টাকার প্রয়োজন।এই সব কিছু মিলিয়ে মিন-সুও খুব ঝামেলার মধ্যে আছে।
যাইহোক এইভাবে করিম এবংমিন-সু দুজন মিলে করিমের বসকে খুঁজতে থাকে। আর এভাবেই আস্তে আস্তে তারা দুজন একসাথে মিশেতে থাকে, কথা বলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়।তারা শেয়ার করে নিজেদের ভাল লাগা-খারাপ লাগার কথা । শেয়ার করে জীবনের অনেক না বলা কথা। করিম তাকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও বাংলাদেশী খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।করিম খুবই বিনয়ী,সৎ,উপকারী, ভদ্র,ধার্মিক এবং নৈতিকতা সম্পন্ন একজন মানুষ।সুযোগ থাকা সত্ত্বেও করিম তার সাথে অনৈতিক কিছু করেনা। মিন-সু বুঝতে পারে করিম আর দশটা ছেলেদের মতো নয় যেসব ছেলেদের সাথে সে আগে মিশেছে। করিমের সাথে থেকে জিবন এবং মানুষ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়।
আর এভাবেই করিমকে সে একসময় ভালোবেসে ফেলে বলে আমার মনে হয়েছে। করিমের ভিসার মেয়াদ যখন শেষ হয়ে যায় তখন করিমকে বলে সে চাইলে তাকে বিয়ে করতে পারে। কারণ বিয়ে করলে করিম কোরিয়ায় স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারবে। কিন্তু করিম তার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
মুভির গল্প আর বলছি না। করিমের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি হয়? মিন-সু’র সাথে তার পরিনতি’ই বা কি হয় সেটা জানার ইচ্ছা হলে মুভিটি দেখতে পারেন।
মন্তব্যঃ মুভিটিতে পরিচালক চেষ্টা করেছে বাঙ্গালী কালচার, কোরিয়ানদের বর্ণ বৈষম্য, বাঙালি শ্রমিকদের দুরবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এদিক দিয়ে পরিচালক ১০০% সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রিভিউ করেছেনঃ Sorifuzzaman Sujon
Bhaii subtitle ta hocche nah prothe ektu
hocche pore ar sub asteche nah kano.?