বেইবল মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Babel Bangla Subtitle) বানিয়েছেন সাইমন এলেক্স। বেইবল মুভিটি পরিচালনা করেছেন আলেজান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারেতু এবং গল্পটি লিখেওছিলেন আলেজান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারেতু। ২০০৬ সালে বেইবল মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ২,৭৪,৪৫৭ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৫ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ২০ মিলিয়ন বাজেটের বেইবল মুভিটি বক্স অফিসে ১৩৫.৩ মিলিয়ন আয় করে।
তৃতীয় সন্তানের মৃত্যুর পর পারিবারিক অশান্তি থেকে নিষ্পত্তি পেতে এক আমেরিকান দম্পতি মরক্কোতে আসে ভ্যাকেশনে, উদ্দেশ্য মানসিক অস্থিরতা কমানো। সুদূর আমেরিকায় রেখে আসে বাকি দুই সন্তানকে ন্যানির কাছে – ন্যানি হচ্ছে মেক্সিকান এক মহিলা, যে কিনা এই আমেরিকান দম্পতির বাড়িতে অনেকদিন যাবত কাজ করছে!!
মরক্কো হচ্ছে মরুভূমি, বালু আর রুক্ষ পাহাড়ের দেশ, সেখানে রাখালেরা মেষ চড়িয়ে জীবন যাপন করে – আর গৃহপালিত পশুর শত্রু হচ্ছে শিয়াল – এই শিয়াল থেকে মেষ বাঁচাতে পরিবারের এক কর্তা প্রতিবেশির থেকে একটি রাইফেল কিনেন… ওদিকে কর্তা রাইফেলটা যে প্রতিবেশির কাছ থেকে কিনেছিলো, তা আবার সেই ভদ্রলোককে দিয়েছিলো এক জাপানীজ পশু শিকারি – তাও অনেককাল আগে!! কর্তা রাইফেলটা কেনার পর তার দুই ছেলে আহমেদ আর ইউসুফকে দ্বায়িত্ব দেয় রাইফেল নিয়ে মেষ চড়াতে যেতে… তারপর?? কে জানতো তারা যে বিরাট এক অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে নিজেদের অজান্তেই…!!
একটা রাইফেল, চারটা পরিবার – চারটা দেশের চারটা কাহিনিকে একই সূতোয় বাঁধা এক অস্থির প্লট হচ্ছে Babel মুভিটার! ২০০৭ সালে মুভিটি সাতটা ক্যাটাগরিতে অস্কারের জন্যে মনোনিত হয়েছিলো, এবং একটিতে অস্কার ছিনিয়ে এনেছিলো… আর মু্ভির ডিরেক্টর Alejandro González Iñárritu, চারবার বেষ্ট ডিরেক্টর ক্যাটাগরিতে অস্কার পাওয়া এক দূর্দান্ত ডিরেক্টর!! ড্রামা জনরার এই মুভিটি তাই ওনার হাতে পড়ে যেন আরও বেশি মেলে ধরেছিলো নিজেকে… আর অ্যাক্টিং নিয়ে বলার কিই বা আছে, যেখানে ব্রাড প্রিট মুভিতে আছে!!
মাষ্ট ওয়াচ একটা মুভি, দেখা উচিত সবার
রিভিউ করেছেনঃ Khalid Mahmud