এপিক্লাপ্টো মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Apocalypto Bangla Subtitle) বানিয়েছেন নাজমুল হোসাইন। এপিক্লাপ্টো মুভিটি পরিচালনা করেছেন মেল গিবসন। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন ফরহাদ সাফিনিয়া। ২০০৬ সালে এপিক্লাপ্টো মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ২,৭১,৮৬৬টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৮ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ৪০ মিলিয়ন বাজেটের এপিক্লাপ্টো মুভিটি বক্স অফিসে ১২০.৭ মিলিয়ন আয় করে।
পৃথিবীতে অনেক জঘন্যতম পর্যায়/যুগ এসেছে। সেই যুগ থেকে পরিত্রানের জন্য যুগে যুগে অনেক পয়গম্বর নাজিল হয়েছে। একটা জিনিস খেয়াল করেন পৃথিবীর ধ্বংসাত্মক দিকগুলা দেখে আমরা শুধু হায়-হুতাশ করি এই ভেবে যে কিয়ামতের বুঝি আর দেরি নাই কিন্তু কখনও সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করি না।
মুভি প্রসঙ্গে আসি..
পুরো মুভিটা জঙ্গলে বসবাসকারী কয়েকদল Tribal নিয়ে যেখানে মায়া সভ্যতাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। মুভিতে প্রথম দলে Flint Sky আর তার ছেলে Jaguar Paw তাদের দলের নেতৃত্বে থাকে একবার অন্য আরেকদল তাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করার অনুমুতি চায় এই বলে যে তাদের অঞ্চলে আক্রমন করা হয়েছে এখন তারা নতুন করে সবকিছু শুরু করতে চায় আর তাদের চেহারা থাকে ভীতসন্ত্রস্ত।২য় দল তাদের গ্রাম অতিক্রম করে যাওয়ার পর Flint Sky তার ছেলে Jaguar Paw কে বলে এই দলের মধ্যে তুমি কি দেখতে পেলে? Jaguar Paw তার বাবার কথার অর্থ বুঝতে পারে না।তখন তার বাবা বলে এরা শুধু ভীতই নয় ভয় দ্বারা সংক্রমিত।আর যখনি কেউ ভয়কে আলিঙ্গন করে তখন সেটা হামাগুড়ি দিয়ে তার বুকে চড়ে বসে তার সুখ কেড়ে নেয়। আর মনে রেখ আমি তোমাকে ভয়ের সাথে বেঁচে থাকার জন্য বড় করি নি। এই ভয়কে জয় কর।একে কখনো আমাদের গ্রামে আসতে দিয়ো না।
ঘটনাক্রমে তাদের গ্রামেও ৩য় আরেক দল হামলা করে। কেন করে? তাদের উদ্দেশ্য কি? হামলার পর তাদের নিয়ে করেই বা কি? এই পুরো ব্যপারটাই এতটাই থ্রিল যে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবে(গ্যারান্টি দিলাম লিখে রাখতে পারেন)। এদিকে আক্রমন করার পর যাওয়ার পথে রোগাক্রান্ত এক বাচ্চা মেয়ে সামনে আসে আর ৩য় দলের একজন তাকে বাজেভাবে তাড়িয়ে দেয়। তখন মেয়েটা অভিশাপ দেয়/ ভবিষ্যৎবানী করে যে তাদের মৃত্যু সন্নিকটে। তাদেরকে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনের জন্য তৈরি হতে বলে।তাদের মৃত্যু কার হাতে হবে তাও বলে দেয়। তাদের মৃত্যুর সময় আর মৃত্যুদানকারী ব্যক্তির বর্ণনা দিয়ে বলে তাকে তোমরা পৃথিবী আর মৃত্তিকার মধ্য হতে জাগ্রত হতে দেখবে তখন দিন হবে রাতের মত। এই বাচ্চা মেয়ের ভবিষ্যতবাণী কিভাবে সত্য হয় দেখবেন আর চোখের পলক ফালাতে ভুলে যাবেন।
মুভিতে একটা বড় গর্তের ভিতরে জাগুয়ার তার এক ছেলে আর গর্ভবতী স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখে আর তাদের সেখানে survival এর মুহূর্ত গুলাও অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলা হইছে বিশেষ করে পানির মধ্যে বাচ্চা জন্মদানের প্রক্রিয়াটা। আর বলতেই হবে ক্যামেরার কাজ ছিল এক কথায় অসাধারন।
রিভিউ করেছেনঃ Afsana Kornia
vai, ei subtitle file er moddhe kono srt file nei. plz srt file din.