যারা বাংলা সাবটাইটেল লাগিয়ে মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাদের কথা মাথায় রেখে জন উইক চ্যাপ্টার ২ মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (John Wick: Chapter 2 Bangla Subtitle) বানিয়েছেন তানভির। জন উইক চ্যাপ্টার ২ মুভিটি পরিচালনা করেছেন চাদ স্টাএলস্কি। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন ডরেক কলস্টেড। ২০১৭ সালে জন উইক চ্যাপ্টার ২ মুক্তি পায়। ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৩,০০,৮১৩টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৫ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ৪০ মিলিয়ন বাজেটের জন উইক চ্যাপ্টার ২ মুভিটি বক্স অফিসে ১৭১.৫ মিলিয়ন আয় করে।
আমরা এখন John Wick এর দুনিয়া সম্পর্কে বেশ জানি, যা প্রথম সিনেমায় অনেকটা ধোঁয়াশা ছিলো। চমৎকার একটা ক্রিমিনাল ওয়ার্ল্ড, যেখনে হিটম্যান ও এনফোর্সারদের মধ্যে বেঁধে দেয়া নিয়ম আছে। জাতিসঙ্ঘের মতো কমন গ্রাউন্ড আছে, পেশাদারী ভাবটা পুরোদমে সম্মান করা হয়। রাস্তার মোড়ের কমন গুন্ডারা এই সমাজের অংশ নয়। এখানকার অধিবাসীরা নিপাট ভদ্রলোক, চমৎকার খুনি।
সমস্ত লেনদেনের জন্যে আলাদা কারেন্সি আছে। এঁদের কয়েনগুলো দেখে আমার মিথোলজির বোটম্যান কয়েনের কথা মনে পড়ে যায়। যেখানে মৃত্যুর পর মানুষের সাথে গোল্ড কয়েন দেয়া হতো, যেন ওপারের দুনিয়ার যাওয়ার জন্যে নৌকার মাঝিকে দিতে পারে। নৌকার মাঝির কাছে কাগজের টাকা চলে না। জন উইকের দুনিয়ায়ও কাগজের টাকা নেই। কারো নামে খুনের বাউন্টি বেঁধে দেয়ার চমৎকার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম আছে, সর্বদা লোকজন কাজ করছে টপ-নচ ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির মতো।
জন উইকের দুনিয়া কাল্পনিক নতুন এক দুনিয়া, অভূতপূর্ব। এই দুনিয়া নিয়ে অভিভূত হবার সুযোগ আছে, মুগ্ধ হয়ে দেখার সুযোগ আছে কিভাবে এ দুনিয়ার চাকা ঘোরে, সুতোয় টান খেয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। জেসন বর্নের মতো। কিন্তু জন উইকের কোন নভেল নেই। আফসোস হচ্ছে আসলে। এমন গল্পে নভেল থাকার সুযোগ ছিলো। আগ্রহ নিয়ে পড়তাম।
রিভিউ করেছেনঃ Amor Asad