গুড উইল হান্টিং মুভিটি পরিচালনা করেছেন অ্যামেরিকান মুভি ডিরেক্টর গাস ভ্যান সেন্ট। গুড উইল হান্টিং এর প্রযোজনা করেছে লরেন্স বেন্ডার। একই সাথে গল্পের লেখক ও অভিনেতা ছিলেন ম্যাট ড্যামন ও বেন অ্যাফেলেক। ২ ঘন্টা ৬ মিনিটের এই মুভিটি প্রথম প্রকাশিত হয় ৯ জানুয়ারী ১৯৯৮ সালে। ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে ৮.৩ রেটিং প্রাপ্ত মুভিটিতে প্রায় সাড়ে সাত লাক্ষ এর মতো ভোট পড়ে। ১০ মিলিয়ন বাজেটের গুড উইল হান্টিং মুভিটি বক্স অফিসে ২২৫ মিলিয়ন আয় করে।
অস্বাভাবিক মেধা নিয়ে পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ জন্ম নেয়। এমন না যে এই মেধাবী মানুষগুলো সব সময় আলোকিত হতে। এই ধরনের মেধাবী মানুষদের এক কথায় বলে প্রডিজি। জাফর ইকবাল স্যারের “আমি তপু” বইতে এর ধারনা পাবেন। এটি একটি কাল্পনিক মানব চরিত্র। আর কেও যদি august rush দেখে থাকেন তাহোলেও এই মানব প্রজাতি সম্পর্কে কিছু ধারনা পাবেন। এই প্রজাতির সবাইকে যে পৃথিবী চেনে তা না আর ভবিষ্যতেও সবাইকে চিনে নেবে তাও সম্ভব না। কারন কেউ কেউ নিজের এই মেধাকে বিচার করতে পারেনা। আর কেউ বিচার করতে পারলেও আসতে চায় না আলোর নিচে।
জীবন বিমুখ একজন মানুষের মধ্যে অসাধারন প্রতিভা চাইলেই সে অনেক আগে এগিয়ে যেতে পারে। প্রতিভার অসাধারণ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সে অতীত কে আঁকড়ে বসে থাকে। একরাশ গ্লানি দুঃখ কে বহন করতে চায়। এরকম কাউকে কি জীবনের প্রতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গাস ভ্যান সেন্ট এর পরিচালনায় গুড উইল হান্টিং এর কাহিনী এরকমই এক যুবক কে নিয়ে।
প্রিথিবীর সেরা ইন্সটিউটগুলোর মধ্যে একটি হলো ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বা এমআইটি। এখানে বিশ্বের সব মেধাবী স্টুডেন্ট রা পড়তে আসে। এখানেই সুইপার এর কাজ করে উইল হান্টিং নামের । যে কিনা আনন্দের জন্য অর্গানিক কেমিস্ট্রির মত সাবজেক্ট পড়ে। যার মাথায় গেথে আছে ১৯৭৮ থেকে এখন পর্যন্ত সকল আমেরিকান ল’। আদালতে যে নিজেই নিজের উকিল। হিস্ট্রি সম্পর্কে সব যার নখদর্পনে। আর গনিত??? এই ক্ষেত্রে সে একাই এই রাজ্যের একচ্ছত্রাধিপতি যেনো।বিশ্বের সেরা গণিতবীদ দের যে সমস্যার সমাধান করতে দিনের পর দিন লেগে যায় সে তা সমাধান করে নিমিশেই। তার মতে “it’s a kind of joke”।
হলিউডে যে কয়টি সিনেমা মানুষের জীবনের গতি ঘুরিয়ে দিতে পারে তারমধ্যে একটি হলো Good Will Hunting.জীবনে আঘাত খাওয়া মানে হেরে যাওয়া নয় আঘাতের সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া জীবন। প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করার মতো। তাছাড়া একজন শিক্ষক ও ছাত্রের সম্পর্ক কিরকম হওয়া উচিত সেটা যেটা ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।