দ্য ক্লায়েন্ট মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (The Client Bangla Subtitle) বানিয়েছেন মোস্তফা কামাল সুমন মুভিটি পরিচালনা করেছেন সোহান ইয়াং-সাং। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন সোহান ইয়াং-সাং। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,২১০টি ভোটের মাধ্যেমে রেটিং ৬.৮ প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। মুভিটি বক্স অফিসে ১৫.৮ মিলিয়ন আয় করে।
একটি কোর্টরুম থ্রিলার সিনেমায় যা যা উপকরণ দরকার,তার সবকটিই এই সিনেমায় আছে, সাথে বোনাস হিসেবে পাবেন কোরিয়ার ৩ পরিচিত মুখ হা জাং-উ (Ha Jung-woo),পার্ক হি-সুন (Park Hee-soon), এবং জ্যাং হিউকের (Jang Hyuk) শক্তিশালী অভিনয় পারফরমেন্স। মুভিটি শুরু হয় হান চুল-মিন (জ্যাং হিউক) কে দিয়ে। ঝুমতে ঝুমতে গাড়ি চালিয়ে সে তার বাড়িতে পৌছে পার্কিং কমপ্লেক্সে মানুষের ভিড় দেখেন। সেই ভিড় টপকে হাতে ফুল এবং উপহার নিয়ে সে তার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে দেখেন সেখানেও পুলিশের ভিড়। তার ঘরের বিছানা পুরোটা রক্তাক্ত হয়ে আছে। পুলিশ তাকে সাথে সাথে তার স্ত্রীর খুনের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেন। এই কেসে সন্দেহভাজন হান চুল-মিনের বিরুদ্ধে প্রোসিউকিউটরের দায়িত্ব নেন আন মিন-হো (পার্ক হি-সুন) যিনি বদ্ধপরিকর তাকে শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে।
হান চুল-মিনের উকিল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় খাং সুং-হিকে, যিনি এই জটিল কেসে যেভাবেই হোক হান চুল-মিনকে নির্দোষ প্রমাণ করেই ছাড়বেন। মুভির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিছানার রক্ত ডিএনএ টেস্ট করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে এই রক্ত হান চুল-মিনের স্ত্রীর আর রক্তের পরিমাণ হিসেব করে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তার স্ত্রী আর বেঁচে নেই। এই জটিল একটি কেস নিয়ে তৈরি এই সিনেমা। প্রত্যাশিতভাবে এই কেস সমাধান করতে করতে সামনে চলে এসেছে অন্য খবর।
মুভিটা শুরুতে আমার কিছুটা জটিল মনে হয়েছে, হয়ত আমার বুঝতে সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু শুরুর আধ ঘণ্টার পর আর কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়নি। সবকিছু পানির মত পরিষ্কার এবং ইন্টারেস্টিং লেগেছে। যেমনটা উপরে বলছিলাম, মুভির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা ৩ জনের অভিনয়ই আমার দুর্দান্ত লেগেছে। এই কোর্টরুম থ্রিলার দেখে কেউ হতাশ হবেন না বলে আমি বিশ্বাসী।