র্যাম্পেজ মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Rampage Bangla Subtitle) বানিয়েছেন কুদরতে জাহান। র্যাম্পেজ মুভিটি পরিচালনা করেছেন ব্র্যাড পাইটন । এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন রায়ান ইঞ্জি। 2018 সালে র্যাম্পেজ মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,২১,২৬১ টি ভোটের মাধ্যেমে ৬.১ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ১২০-১৪০ মিলিয়ন বাজেটের র্যাম্পেজ মুভিটি বক্স অফিসে ৪২৮ মিলিয়ন আয় করে।
কুটিল কোম্পানি এনারজিনের ল্যাব থেকে দুর্ঘটনাক্রমে এক জীবাণুরূপী অস্ত্র ছড়িয়ে যায়। সেই প্যাথোজেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তিনটি ভিন্ন প্রাণী। ফলে তারা নির্বিচারে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে পৃথিবীতে। এই কাহিনী নতুন কিছু না, কিন্তু সমস্যা হলো এই তিনটি প্রাণীর একজন হলো প্রাইমেটোলজিস্ট ডেভিসের বেস্টফ্রেন্ড গরিলা, যার নাম জর্জ। সুতরাং জেনেটিক্স বিশেষজ্ঞ কেট ক্যাল্ডওয়েলকে সাথে করে ডেভিস শুরু করে জর্জ এবং সেই সাথে শিকাগোকে শহরকে বাঁচানোর অভিযান। কিন্তু তাদের পিছে লাগে রহস্যময় অ্যাজেন্ট রাসেল এবং এনারজিনের মালিকপক্ষ।
Kong: Skull Island, Godzilla এইধরনের মনস্টার সাইফাই মুভি দেখে মজা লাগলে এটা দেখেও মজা পাবেন। এমনকি হালকা জুরাসিক পার্ক সিরিজেরও ফ্লেভারও ছিল। সিজিআই ইফেক্ট ছিল এককথায় চোখধাঁধানো। কেট এবং অ্যাজেন্ট রাসেলের ভূমিকায় দুই ফেভারিট নাওমি হ্যারিস এবং জেফরে ডিন মর্গানকে বেশ ভালো লেগেছে, তাদের প্রেজেন্স আরো বেশি হলে ভালো হত। এনারজিনের কুটনা মালিক হিসেবে ম্যালিন অ্যাকারমেনও ভালো ছিল। মুভি দেখে মনে হয়েছে, হেন কাজ নেই যেটা রক পারে না! হোক সেটা গরিলা সামলানো, হেলিকপ্টার চালানো কিংবা আর্মিদের সাথে হ্যান্ড-টু-হ্যান্ড কমব্যাট। তবে মুভি অনেক এক্সাইটিং ছিলো, মূলত অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলোর জন্য। সবচেয়ে মজার ছিল রকের সাথে গরিলা জর্জের সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের কথোপকথনগুলো।
একটা মজার তথ্য, এমনিতে রোটেন টমাটোস রেটিং খুব বেশি ভালো না। কিন্তু ভিডিও গেম থেকে নির্মিত মুভিগুলোর মধ্যে এটি রোটেন টমাটোসে ১ নম্বরে আছে। San Andreas আর Journey 2: Mysterious Island এর পরে পরিচালক ব্র্যাড পেইটনের সাথে এটা রকের তৃতীয় ছবি।
রিভিউ করেছেনঃ Kudrate Jahan Zinia