দ্যা ডিপার্টেড বাংলা সাবটাইটেল (The Departed Bangla Subtitle) টি বানিয়েছেন আরিফ জামান & প্রমিত সরকার ধ্রুব। দারুন ক্রাইম থ্রিলার মুভিটি পরিচালনা করেছেন মার্টিন স্কোরসেজি। মুভিটির স্ক্রিনপ্লে লিখেছেন উইলিয়াম মোনহান। যদিও এটি ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হংকং এর সিনেমা ইনফারনাল অ্যাফেয়ার্স এর মার্কিন পুণঃনির্মাণ। ১০,৮৬,২৯৪ ভোট প্রাপ্ত হয়ে অস্কারজয়ী মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৫ এবং রোটেন টমাটোস ৯১%। ৯০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের মুভিটি ২৮৯ মিলিয়িন ডলার ব্যাবসা করতে সক্ষম হয়েছে।
একজন সৎ ও একজন অসৎ পুলিশ অফিসারের জীবনকে ঘিরেই তৈরি ‘দ্য ডিপার্টেড’ মুভি। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরের আইরিশ মব বস ‘ফ্রান্সিস ফ্যাঙ্ক কস্টেলো’ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভিতরে তার অনুচর ‘কলিন সুলিভান’কে নিয়োগ করে। অপরদিকে ম্যাসাচুসেটস স্টেট পুলিশ কস্টেলোর বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করার জন্য আন্ডারকভার পুলিশ কর্মকর্তা ‘উইলিয়াম কস্টিগান জুনিয়র’কে নিয়োগ করে। কস্টিগান কস্টেলোর গ্যাং-এ নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতে সফল হয়। একসময় মব আর পুলিশ দুজনেই জেনে যায় যে তারা একে অপরের তথ্য ফাঁস করার জন্য অনুচর নিয়োগ করেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের অনুচর খুঁজে বের করার চেষ্টা করে ও অন্যপক্ষ তাদের অনুচরের পরিচয় গোপন রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। নানানরকম টুইস্ট ও রোমাঞ্চকর ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে কাহিনী।
মুভিটাকে ভালো লাগার যথেষ্ট কারণ আছে বৈকি। প্রিয় ডি-ক্যাপ্রিও তো আছেনই, স্কোরসেজির ডিরেকশন। কাহিনী শৈলী, অভিনেতাদের অভিনয়ের নান্দনিকতা, প্রতিটি অভিনেতারই পরিণত ও মানানসই চরিত্র, সিচুয়েশন্স এর সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের মনোমুগ্ধকর সমন্বয়, গল্পের ধারাবাহিকতা ও যৌক্তিকতা যেকোনো মুভিপ্রেমীকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। আর এন্ডিং’ও দিবে আপনাকে তৃপ্তি।
অভিনয় ও ডিরেকশনের ব্যাপারে আলাদা করে কিছু বলার নেই। আন্ডারকভার পুলিশের চরিত্রে ছিলেন ডি-ক্যাপ্রিও, আইরিশ গ্যাংস্টারের চরিত্রে জ্যাক নিকোলসন এবং আইরিশ মব বস-এর অনুচরের চরিত্রে ছিলেন ম্যাট ডেমন। এক কথায়, অভিনয়ের কারখানায় ভরপুর ছিল পুরো মুভিটি। পার্শ্ব অভিনেতারাও কম যান না। এ বলে আমায় দ্যাখ, তো ও বলে আমায় দ্যাখ। একেবারে পারফেক্ট স্টারকাস্টিং। আগেই বলেছি, ডিরেকশনে ছিলেন মার্টিন স্কোরসেজি। মানুষটির তিনটা মুভি এর আগে দেখেছি। হতাশ হইনি, এবারো পারলাম না হতাশ হতে।
রিভিউ করেছেনঃ Akash AC
This website uses cookies.