স্বাহাঃ দা সিক্সথ ফিঙ্গার মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Svaha: The Sixth Finger Bangla Subtitle) বানিয়েছেন অনুবাদে অনুরণন। মুভিটি পরিচালনা করেছেন জা-হিউন জাং। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন জা-হিউন জাং। ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ মুক্তি পায়। ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,৩৭৬টি ভোটের মাধ্যেমে ৬.৩ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। মুভিটি বক্স অফিসে ১৭.৭ মিলিয়ন আয় করে।
৬ বছরের বেশী সময় ধরে কোরিয়াতে থাকার কারণে প্রায় সময় ক্রিশ্চিয় অথবা জেহোভাস উইটনেস নামক ধর্মের প্রচারকদের উৎপাত সহ্য করতে হয়েছে। শুরুর দিকে ভদ্রভাবে কিছুক্ষন কথা বললেও পরের দিকে ব্যস্ত আছি বলে এড়িয়ে যাই। কোরিয়ান এই চার্চগুলোর কিছু হয়তো সাধারণ চার্চ, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন নির্দিষ্ট যাজকের লিডারশীপে আলাদা একটি কাল্ট (Cult). এদের ফলোয়াররা সাধারণত বিদেশীদের টার্গেট করে রাখে তাদের চার্চে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। এমনকি ফলোয়ার হওয়ার বোনাস হিসাবে অনেক সুবিধা ( কম ভাড়ায় বাসা, মাসিক আর্থিক সাহায্য) থাকে। এমন একটি ছোট কাল্ট ( যদিও বুদ্ধিস্ট) নিয়ে, ডিরেক্টর জেহিউন জাং ( Director and Writer : The Priest(2015)), বানিয়েছেন “SVAHA: THE SIXTH FINGER” মুভিটি।
কাহিনী সংক্ষেপঃ সম্পূর্ণ কাহিনিটিকে যদি আমরা একটা পাজল ধরি, তাহলে এই পাজলের তিনটি অংশ রয়েছে।
পাজল পিস#১
১৯৯৯ সালে এক প্রত্যন্ত কোরিয়ান গ্রামে জন্ম দিয়েছে জন্ম নিয়েছে যমজ দুই মেয়ে, এর মধ্যে পরিবারের বিশ্বাস, একজন ডেমন, যে কিনা দেখতেও অদ্ভুত, এবং গর্ভে থাকা অবস্থায় তার বোনের পায়ের কিছু অংশ খেয়ে নিয়েছে। ডাক্তারের ভাষ্যমতে, এই ডেমন মেয়ের বেঁচে থাকার কথা না, কিন্তু সবাইকের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিব্যি বেঁচে যায়। এক পায়ে সমস্যা নিয়ে এক মেয়ে সাধারণ নিয়মে দাদা-দাদীর কাছে বড় হলেও, আরেক বোনকে বাড়ির পিছনে এক নোংরা রুমে বন্দী করে রাখা হয়। ভয়ে ওই রুমের কেউ যায়না, শুধুমাত্র খাবার দেওয়ার সময় ছাড়া। কিন্তু এই মেয়ের জন্যে প্রতিবারই তাদের গ্রাম বদল করতে হয়, কারণ যেখানে যায় না কেন, অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটতে থাকে।
পাজল পিস#২
ক্রিশ্চিয়ান ধর্মযাজক পার্ক (মুভির মূল ক্যারেক্টার), যার কাজই হচ্ছে ভুয়া ধর্মীয় সংস্থাগুলোর তদন্ত করা এবং জারিজুরি ফাঁস করে দেওয়া। এইসবের পিছনে যে ধর্মযাজক পার্কের শুধু যে মহৎ উদ্দেশ্য তা ভাবলে ভুল হবে, বিনিময়ে আর্থিক সুবিধাও আদায় করে নিচ্ছেন টেলিভিশন, আসল ধর্মীয় সংস্থাগুলোর কাছ থেকে। সম্প্রতি তিনি “ডিয়ার মাউন্ট” নামক নতুন এক ছোট বুদ্ধিস্ট কাল্টের সন্ধান পেয়েছেন, যার গোপন রহস্য ফাঁস করে দিলে শুধু টাকা না জনপ্রিয়তা পাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
পাজল পিস#৩
এক কিশোরী মেয়ের লাশ পাওয়া যায় এক ব্রিজের সিমেন্টে গাঁথা অবস্থায়। সন্দেহ করা হয় এমন একজনকে যার সাথে আবার “ডিয়ার মাউন্ট” কাল্টের যোগাযোগ রয়েছে।
একই সাথে “The Wailing” , “True Detective” এবং “The Vinci Code” এর ফ্লেভার পাবেন এই মুভিতে। মুভির খারাপ দিক বলতে যেটা চোখে লেগেছে, তা হলো অনেক অপ্রয়োজনীর সিন দিয়ে মুভিটিকে অহেতুক লম্বা (২ ঘণ্টা) করা হয়েছে। মুভির উদ্দেশ্য অথবা লাস্ট মেসেজ কি ঠিক মত বোঝা যায়নি। এসব বাদ দিলে, নিঃসন্দেহে “SVAHA: THE SIXTH FINGER” একটি উপভোগ্য থ্রিলার।
রিভিউ করেছেনঃ Rashed Kaiser
This website uses cookies.