নাজান্দুকালুদে নাতিটিল ওরিদাভেলা মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Njandukalude Naattil Oridavela Bangla Subtitle) বানিয়েছেন শাকিল মিকু। নাজান্দুকালুদে নাতিটিল ওরিদাভেলা মুভিটি পরিচালনা করেছেন আলতাফ সেলিম। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন আলতাফ সেলিম। ২০১৭ সালে নাজান্দুকালুদে নাতিটিল ওরিদাভেলা মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,২০০ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.০ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। নাজান্দুকালুদে নাতিটিল ওরিদাভেলা মুভিটি বক্স অফিসে ২০ কোটি (কেরেলা ) আয় করে।
সিম্পল, রিফ্রেশিং, হিউমারাস এন্ড কিছুটা ইমোশনাল রাইড ও বটে। সিনেমার শুরুতেই পরিচিত হই ‘চাকো’ ফ্যামিলির সাথে। ফ্যামিলিতে আছে বাবা চাকো, মা শিলা চাকো দুইবোন সারাহ, মেরি আর লন্ডন প্রবাসী ভাই কুরিয়ান চাকো। তো মা এর একদিন সন্দেহ হয় যে তার ক্যান্সার হয়েছে, তাই ছেলেকে লন্ডন থেকে ডেকে পাঠায়। কুরিয়ান ভাবে তার হয়তো বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে, তাই আসার জন্য বলছে। কুরিয়ান চলে আসে এবং এদিকে মায়ের ও সত্যিই সেকেন্ড স্টেজের ক্যান্সার ধরা পরে! ডাক্তারের আশ্বাস ট্রিটমেন্ট করলে বাচার চ্যান্স অনেকটাই। একদিকে মায়ের ট্রিটমেন্ট আরেকদিকে ফ্যামিলির সবাই ব্যাপারটা কিভাবে নিচ্ছে, কিরকম রিয়েক্ট করছে তা নিয়েই গল্প এগুতো থাকে।গল্প নতুন কিছু নয়, বাট মালায়ালাম সিনেমায় সচরাচর যেটা থাকে- সাধারণ গল্পের অসাধারণ উপস্থাপন এই ব্যাপারটা এইখানেও উপস্থিত।
পরিচালক আলতাফ সেলিম এর প্রথম কাজ দেখে একদম বুঝার উপায় নেই! মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রি আরেকটা ট্যালেন্ট পেয়ে গেছে। তার রাইটিং যেমন ফ্রেশ তেমনি অসাধারণ পরিচালনাও। কোনোরকমের মেলোড্রামা ক্রিয়েট করা হয়নি, প্রতিটা মুহুর্ত ইঞ্জয় করার মত। ফ্যামিলি ড্রামা বলে যে ক্লিশে ভাবটা চলে আসে এখানে সেটা অনুপস্থিত। ওভার ড্রামাটিক কিছু ক্রিয়েট করা হয়নি, যা হওয়ার ছিল তাই দেখানো হয়েছে। সিনেমার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্টের একটা হলো কমেডি। পুরো সিনেমা জুড়েই হিলারিয়াস সব সংলাপ কিছুক্ষন পরপরই হাসতে বাধ্য করে। এডিটিং এর কাজ বেশ ভাল, অদরকারিভাবে লেংথি করা হয়নি একদম। জাস্টিন ভারগিজ এর কম্পোজ করা মাত্র দুইটা গান আছে সিনেমায় এবং দুইটাই বেশ ভাল। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ওয়াজ ওকে।অভিনয়ের কথা বললে সবার পারফরমেন্সই ভাল। সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে শান্তি কৃষ্ণাকে।
১৯ বছর পর মালায়ালাম সিনেমায় ব্যাক করে শুরুতেই অসাধারণ এক পারফরমেন্স। নিভিনের চরিত্রটা এবার কোনোরকম হিরোইজম থেকে কয়েকশো হাত দূরে। লাইফে কোনোরকম এইম ছাড়া এক ছেলে যে বিয়ের কথা ভেবে লন্ডন থেকে চলে আসে কমেডি সিনগুলায় লাল আর নিভিন ফাটিয়েছে। ঐশ্বরিয়া লেক্সমির প্রথম সিনেমাতেই মেয়েটা কি রোল পেল :(। ১৫ মিনিট ও হবেনা ওর চরিত্রের ডিউরেশন, ভাবছিলাম মনভরে ওকে দেখবো। এছাড়া অহনা, শ্রীন্ধা, সিজু ওয়েলসন সবাই ভাল ছিল।নিভিনের ফ্যামিলি ড্রামা চয়েজ বরাবরই দারুন হচ্ছে। গতবছর জ্যাকোবিন্তে স্বর্গরাজ্যম আর এইবার নান্দুকালুদে নাট্টিল ওরিদাবেলা দুইটাই আমার অলটাইম ফেভারিট ফ্যামিলি ড্রামার লিস্টে থাকবে। মাস্ট ওয়াচ।
This website uses cookies.