Heart Attack (2014) Bangla Subtitle – হার্ট অ্যাটাক বাংলা সাবটাইটেল

হার্ট অ্যাটাক মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Heart Attack Bangla Subtitle) বানিয়েছেন জ্যোতির্ময় এস। হার্ট অ্যাটাক মুভিটি পরিচালনা করেছেন পুরী জগন্নাধ। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন পুরী জগন্নাধ। ২০১৪ সালে হার্ট অ্যাটাক মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৫৩১ টি ভোটের মাধ্যেমে ৫.২ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ইউ এস ২ মিলিয়ন বাজেটের হার্ট অ্যাটাক মুভিটি বক্স অফিসে ইউ এস ৫.৮ মিলিয়ন আয় করে।

সাবটাইটেল এর বিবরণ

  • মুভির নামঃ হার্ট অ্যাটাক
  • পরিচালকঃ পুরী জগন্নাধ
  • গল্পের লেখকঃ পুরী জগন্নাধ
  • মুভির ধরণঃ একশন, রোমান্স
  • ভাষাঃ তেলেগু
  • অনুবাদকঃ Jotirmoy S
  • মুক্তির তারিখঃ ৩১ জানুয়ারী ২০১৪
  • আইএমডিবি রেটিংঃ ৫.২/১০
  • রান টাইমঃ ১৪০ মিনিট

হার্ট অ্যাটাক মুভি রিভিউ

কাহিনীঃ মুভিতে নিথিনের স্ক্রিন নেম থাকে ভারুন। ভারুনের ক্যারেক্টারটা হচ্ছে একটা ভ্যাগাবন্ড বা ভবঘুরে টাইপের। জীবন সম্পর্কে তার বড় কোন উচ্চাশা নেই। জীবন নিয়ে বলতে গেলে তেমন কোন মাথাব্যাথাই নেই। ছন্নছাড়ার মত এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেই সে ভালোবাসে। যেখানে রাত সেখানেই কাইত অবস্থা। এই ভবঘুরের বেশে বিভিন্ন দেশে সে ঘুরে বেড়ায়। ভারুনের ক্যারেক্টারটা এনালাইজ করলে প্রথমে কিছুটা সার্থপরতার লক্ষনই খুজে পাওয়া যায়। কোন দায়িত্ত বা পিছুটানের আবেশে সে বাধা পড়তে চায় না। সে জন্যই মেয়েদের সাথে সেরকম কোন রিলেশনেও জড়ায় না। যাকে বলে মুক্ত পাখির মত জীবন। এই মুক্ত পাখির মত ঘুরে বেড়াতেই বেড়াতেই একটা সময় সে গিয়ে হাজির হয় স্পেনে।

অপরদিকে, আদাহ শর্মার স্ক্রিন নেম হচ্ছে হায়াতি। ঘটনাচক্রে , হায়াতিও স্পেনে এসে উপস্থিত হয় ঘোরাঘুরির জন্য। ঊঠে বেস্ট ফ্রেন্ডের বাসায় , সেই বেস্ট ফ্রেন্ডের বাবার চরিত্রে ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন সবার প্রিয় কমেডিয়ান ব্রাক্ষ্মানান্দাম। মুভিতে তার চরিত্রটা ছিল ধর্মভীরু বদরাগী একজন মানুষের।

স্পেনের মাটিতে পাড়া দেওয়ার পরপরই ভারুনেরর চোখে পরে যায় হায়াতি। হায়াতির রুপ মাধুর্যে যেন চোখে ঘোর লেগে যায় ভারুনের। বিভিন্ন কৌশলে এরপর হায়াতিকে ভারুন টিজ করতে থাকে। একটা সময় হায়াতিও ভারুনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারুন কি চায় সেটা জানতে চায়। অবাক করা ব্যাপারটা ঘটে সেখানেই! ভারুন বলা নেই কওয়া নেই লিপ কিসের জন্য আবদার করে বসে হায়াতির কাছে!! তারপর সেই এক চুমুর আবদারের জন্য কেটে যায় মুভির মধ্যভাগ পর্যন্ত! কি? জানতে কৌতুহল হচ্ছে হায়াতি শেষ পর্যন্ত ভারুনের এই চুশীল আবদার পূরন করলো কিনা! ভারুনের এই অসভ্য আবদার পূরন করতে গিয়ে… আচ্ছা থাক…কিছু কাহিনী এখনো বাকি আছে। মুভির জনরায় রোমান্টিকের পাশাপাশি অ্যাকশন, থ্রিলার ট্যাগলাইন টা চোখে পড়েছে তো? পুরীর মুভিতে এগুলো তো মাস্ট থাকবেই।

ঘটনাক্রমে ড্রাগ মাফিয়াদের সাথে টক্কর বেধে যায় ভারুনের। কিছুটা রহস্য রেখেই বলছি, হায়াতি তখন স্পেনে নেই। ভারতে চলে গেছে। কেন চলে গেছে? ভারুনের আবদার কি সে শেষ পর্যন্ত পূর্ন করেছিল? ভারুনকে কি সে ভালো বেসেছিল? বাসলে কেন দূরে সরে গেল? এমনই দূরে সরে গেছে যে হায়াতি আর ভারুনের সামনাসামনিও আসতে চায় না কোন দিন।

হায়াতিকে খুজতে তখন ইন্ডিয়াতে চলে আসে ভারুন। তার এতোদিনকার ভ্যাগাবন্ড জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয় সে। কিন্তু, ততোক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। হায়াতির বিয়ে ঠিক হয়েছে, তাও এমন একজনের সাথে যার লোকের সাথে স্পেনে থাকতেই টক্কর বেধেছিল ভারুনের। হ্যাঁ, সে হচ্ছে মাফিয়া গ্যাং এর মেইন পালের গোদা।

Related Post

একের পর এক টুইস্ট ফেস করতে থাকে ভারুন। হায়াতি, যে ভারুনের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে চিরতরে তাকে কি পাবে ভারুন?

অভিনয় পারফরম্যান্সঃ নিথিনের যে কয়েকটা মুভি দেখেছি এটাকেই তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেস্ট মুভি বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। এই মুভিতে এট লিস্ট ওর মুখে বাচ্চা বাচ্চা ভাবটা দেখিনি আমি। বেশ পরিপূর্ন দক্ষতার সাথেই তার চরিত্রকে সে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে। ডায়ালগ, ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সব কিছুই ছিল ১০ এ ১০ পাওয়ার মতো। গতানুগতিক চকোলেট বয়ের চরিত্রে অভিনয় করা নিথিনকে বেশ ভালভাবেই এই মুভিতে ব্যবহার করেছেন ডিরেক্টর পুরী জগন্নাথ।

আদাহ শর্মার কথা আর কি বলবো? She is a queen of Beauty! বেশ সাবলীল আর স্মার্ট অভিনয় করেছে সে।

আর কমেডি সেকশনটা বেশ দক্ষতার সাথেই সামলিয়েছে ব্রাক্ষ্মানান্দাম। কিছু কিছু সিনে তার অভিনয় দেখে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পরে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল!

সিনেমাটোগ্রাফিঃ মুভির ভিজুয়্যাল সেকশনে ছিলেন অমোল রাঠর। বেশ মুনশিয়ানার সাথেই তিনি তার দায়িত্ত পালন করেছেন। ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল, ফ্রেম টু ফ্রেম শটে নিজের নামের সুবিচার করেছেন তিনি।

গানঃ মুভির গানগুলো বেশ দুর্দান্ত। এই মুভির দুটো গান আমার প্লে লিস্টে বরাবরই রিপিট মুডে থাকে।

রিভিউ করেছেনঃ মোহাম্মদ ইউসুফ

This website uses cookies.