অন্ন মারিয়া কালিপ্পিলানু মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Ann Mariya Kalippilaanu Bangla Subtitle)। অন্ন মারিয়া কালিপ্পিলানু মুভিটি পরিচালনা করেছেন মিডন ম্যানুয়েল টমাস। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন মিডন ম্যানুয়েল টমাস এবং জন ম্যানথ্রিচাল। ২০১৬ সালে অন্ন মারিয়া কালিপ্পিলানুমুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,০৩২ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৩ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ৩ কোটি রুপি বাজেটের অন্ন মারিয়া কালিপ্পিলানু মুভিটি বক্স অফিসে ১৮ কোটি রুপি আয় করে।
শিশুদের হৃদয় অনেক কোমল। খুব সহজে তারা আমাদের সাথে মিশে যায়। কিন্তু এই শিশু হৃদয়ে ও থাকে ছোটবেলা থেকেই তাদের স্পেশাল কোন বন্ধু। আধুনিক জীবনের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত আরো বেশি ঝুঁকে পড়ছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য। যার ফলে প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনের জন্য পুরুষের পাশাপাশি আজকের নারীরা ও কর্মক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখছে। আমি নারীদের কর্মক্ষেত্রে পুরুষ দের সাথে তাল মিলিয়ে চলার বিরোধী নই। কিন্তু বাবা-মা উভয়ের কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার জন্য তাদের সন্তানেরা তাদের বাবা-মায়ের সাথে খুব একটা সময় কাটানোর সময় পায় না। ঘরের কাজের লোক থাকলেও তাদের সাথে তো আর বাবা-মায়ের সাথে যে আলাপ করা যাবে তা করা হয়ে উঠে না। সন্তান দের দেখাশোনার দায়িত্ব যে শুধু মায়ের; তা নয়।
বাবার ও উচিৎ তাদের সন্তানদের যথাপুযুক্ত সময় দেয়া। কিন্তু ব্যাপার টা দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আধুনিক সভ্যতার এই যুগে সেই সময়টুকু পায় না শিশুরা। তাই তারা নিজেদের বন্ধি করে নিয়েছে তাদের রুমে। এইরকম বেশিরভাগ শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা এক কাল্পনিক বন্ধু বানিয়ে নেয়। হয়ত সে তার বেডের পাশে শোয়া পুতুল বা কাল্পনিক কোন চরিত্র। জ্বি হ্যা এই কথাটি সত্যি। এই ব্যাপার টির সাথে আবার অতিপ্রাকৃত কিছু যোগ করতে আসিয়েন না। কারণ এটা সেসব শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক হৃদয়ের চিন্তা। ঐ কাল্পনিক চরিত্র তাদের কাছে প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠে। তারা তাদের সকল দুঃখকষ্ট এবং সুখকর সব কথাবার্তা বলতে থাকে ঐ চরিত্র টির কাছে। শিশুদের সাথে কাল্পনিক চরিত্র টি কে “এঞ্জেল” রুপে বিবেচনা করে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মুভিটি। আসুন মুভির গল্প নিয়ে কিছুটা আলোচনা করি।
প্লটঃ আন মেরিয়া ৪র্থ শ্রেণীর একজন প্রাণবন্ত শিশু। আন মেরিয়ার বাবা-মা দুজনেই ডাক্তার। বাবা পেশাজনিত কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে থাকে। তাই মেয়ের সাথে খুব অল্প সময়ে থাকলেও খুব মজার সময় কাটায়। মেয়ের সাথে গল্প করে “এঞ্জেল” এর গল্প। কিন্তু আন মেরিয়া বাবার গল্পের “এঞ্জেল” এর মত তার জীবনেও এঞ্জেল কে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। কারণ এঞ্জেল কে পেলে সে তার না পাওয়া অনেক জিনিসের আবদার করবে তার কাছে।
আন মেরিয়া স্পোর্টসের প্রতি ঝোঁক অনেক বেশি। মেয়েশিশু হওয়া সত্ত্বেও তার নাচ-গানের চেয়েও স্পোর্টসের প্রতি ঝোঁক বেশি ছিল। বিশেষ করে দীর্ঘ লাফ প্রতিযোগিতায়। কিন্তু স্কুলের পিটি স্যার ইচ্ছে করেই তাকে বাছাই করে নি দীর্ঘ লাফ প্রতিযোগিতায়। আন মেরিয়া পিটি স্যার কে জব্দ করার জন্য ভাড়াটে গুন্ডা হিসেবে গিরিশ কে বাছাই করে। কিন্তু গিরিশ ছিল চরম চাপাবাজ। সে বাস্তবে ছিল টেক্সি ড্রাইভার। গিরিশ পিটি স্যার কে জব্দ করতে যেয়ে নিজেই জব্দ হয়ে যায়। আন মেরিয়ার মা ব্যাপার টা জানতে পেরে ক্ষেপে যায়। আন মেরিয়া মনঃক্ষুণ্ণ নিয়ে ঘরকোণে হয়ে পড়ে। তার স্বপ্নের মৃত্যু হতে দেখে আন মেরিয়ার শিশুমন ভেঙ্গে যায়। আন মেরিয়া কি পারবে তার স্বপ্ন সফল করতে?
মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড ও লোকেশান অস্থির ছিল। সারা অর্জুনের অভিনয় অসম্ভব ভাল লেগেছে। খুব ই সাবলীল ছিল এই পিচ্চি শিশুশিল্পীর অভিনয়। সানি ওয়াইনি, আজু ভার্গেসে, সিদ্দিক, শাইন টম, সাইজু কুরুপ এদের প্রত্যেকের অভিনয় অসাধারণ লেগেছে। ক্যামিও চরিত্রে সুপারষ্টার দুলকার সালমানের অভিনয় ছিল এই মুভির আরেক প্লাস পয়েন্ট। তাই দেরী না করে দেখতে বসে যান অসাধারণ মালায়ালাম মুভিটি।
This website uses cookies.