যারা বাংলা সাবটাইটেল লাগিয়ে মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাদের কথা মাথায় রেখে ৯৬ মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (96 Bangla Subtitle) বানিয়েছেন এস, নথগোপাল। ৯৬ মুভিটি পরিচালনা করেছেন দেব প্র্রেম কুমার। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন দেব প্র্রেম কুমার। ২০১৮ সালে ৪ অক্টোবর মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৮.৭/১০ টি ভোটের মাধ্যেমে ১১,২৫২ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি।
মাস্টারপিস শুধু একশন, থ্রিলার দেখে হয় না,কিছু কিছু ভালোবাসা পূর্ণ ছবিকেও মাস্টারপিস বলা হয়। আমাকে যদি বলা হয় যে আমার দেখা ২০১৮ এর সেরা রোমান্টিক ছবি কি? আমার বলব ‘৯৬ মুভি। আর এটা একটা মাস্টারপিস মুভি। একটা ছবিতে কি প্রয়োজন? ধরুন আপনাকে কোন এক ছবির ভিতরে ঢুকতে বলা হল! আপনি স্কুল লাইফে কোনো প্রেম যদি ব্যর্থ হয় আসলে সেটা ব্যর্থ নয় হয়তো কিছু কিছু প্রেম থাকে যেটা ব্যর্থ এর ঠিক বিপরীতে অবস্থান করে আর সেটা হচ্ছে ভালোবাসা। ’96 এমন ই একটা ছবি যেখানে হাজারো ভালোবাসার অনুভূতি একটা বক্সের মধ্যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে,যে রেখেছে তার নাম হয়েছে বিজয় সেথুপতি আর পাশে ছিল তৃষা।
একটা স্কুল!! সেই ছোটবেলায় সে স্কুলের দারোয়ান, সেই ছোটবেলায় কিছু আবেগ মাখা অনুভূতি যেগুলো হয়তো কোথাও বিক্রি হয় না বা আপনি ক্রয় করতে চাইল ও পাবেন না। একটা কোণে, একটা জায়গা, একটা টেবিলে, একটা মেয়ে বসে থাকে আর সেই মেয়েই আপনার প্রতি দিন স্কুলের উপস্থিতিটা আসল কারণ অন্যরকম একটা ফিলিং থাকে তখন। বলতে গেলে ’96 এমন একটা মুভি যেখানে ভালোবাসা একটা পরিপূর্ণ অনুভূতি প্রকাশ করেছে যদিও সেটা শেষের দিকে বেশি আবেগময় করে ফেলেছে।।
মুভি কথাঃ- ছোটবেলার সবার একটি ফ্রেন্ড সার্কেল থাকে। কিছু বন্ধু থাকে এমন বন্ধু যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বুকের এক পাশে গাঁথা থাকবে। ঠিক তেমন একটা গল্প। ১৯ শত ৯৬ সালের একটা দশম শ্রেণীর গল্প, শুধু গল্প না অনেকগুলো আবেগ মাখা অনুভূতি। সব সময় সুখ আসে না আবার সবসময় দুঃখ থাকেও না। ছবিতে বিজয় সেতুপতি আর তৃষা মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।সেই দশম শ্রেণীর একটা প্রেমের গল্প হঠাৎ বিচ্ছেদ আবার হঠাৎ জোড়া কিন্তু জোড়াটা এমন হয় যে সেটা জোড়া লাগার মত না। হয়তো তোমার পথে তুমি আর আমার পথে আমি যেতেই হবে এটাই নিয়তি বলে অব্যাহত।
বিজয় সেথুপথি আবার তৃষা সামনে গেলে তা হার্ট বিট বেড়ে যেত, সে কাঁপতে শুরু করত আর প্রচন্ড ঘামাতো। স্কুল লাইফে তাদের চোখে চোখে অনেক ভালোবাসা হত কিন্তু বহিঃপ্রকাশ হতো না।”সব বাদ দিয়ে ২০ বছর পরে যাই আমরা”। সেতুপথি একজন ফটোগ্রাফার এবং কিছু নতুনদের ট্রেইনার।সেই গোপ, দাড়িওয়ালা সেতুপথি আন্না(এটা আর বিক্রম ভেদার লুক দুইটাই আমার জন্য বেস্ট) হঠাৎ পুরানা সেই স্কুলে যায় সেতুপথি,আর আগের সেই দারোয়ান এর সাথে বসে বসে কথা বলে,স্কুল ঘুরে সেই চেনা চেয়ার টেবিল গুলার মায়া নেওয়া।
ওরা সবাই একটা প্ল্যান করে প্রায় তাও আবার সেটা ২০১৬ সালে প্রায় ২০ বছর পর। তারা ঠিক করে তারা সবাই পুর্নমিলন আয়োজন করবে। সেখানে মোটামুটি সবাই থাকবে। এ আয়োজন টা আসলে বিজয় এর কারণে উদ্ভব হয়। কিন্তু সে জানতো না যে তৃষা সেখানে উপস্থিত হবে। আর যেটা হওয়ারই ছিল না সেটাই হলো দুজনে দেখা হয়ে গেল আর সেখান থেকেই গল্পের আবার উৎপত্তি হল। ধন্যবাদ পড়ার জন্য,কিছু ভুল হতেই পারে,সেগুলা ক্ষমার চোখে দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।
This website uses cookies.