মুভি

মানিয়ারায়িলে অশোকান (Maniyarayile Ashokan) ২০২০ মুভি রিভিউ (সবার প্রিয় দুলকার সালমানের প্রযোজনায় নির্মিত মুভি)

দুলকার সালমান এর নাম শুনলেই সাউথ ভক্তরা এক পায়ে খাঁড়া হয়ে যায়, কারণ তার প্রতি রয়েছে এক নির্ভরশীল আস্থা। বেশ কিছুদিন মুভি কাস্টিং থেকে দূরে থাকার পর হঠাৎ করে চলে আসে এক মুভির প্রযোজনার কাজ নিয়ে। সেই থেকে সবাই প্রত্যাশায় ছিল অনন্য এক মাস্টারপিস দেখবে বলে। নতুন ডিরেক্টর আর নতুন কিছু চরিত্র নিয়ে শুরু হয় ভিন্ন ধারার এই মুভির পরিচালনা। করোনার মধ্যে সকল হল বন্ধ থাকায় বহুল হাইপ স্বত্বেও সরাসরি অনলাইনে রিলিজ হয় মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির এই ভিন্ন ধারার মুভিটি।

মানিয়ারায়িলে অশোকান মুভি ইনফো

কমেডি, রোমান্স এ পরিপূর্ন এই মুভিটি ২০২০ সালের করোনার মাঝেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রিলিজ পেয়েছিল। মালায়ালাম ইন্ডস্ট্রীর এই মুভিটিতে অভিনয় করেছেন জ্যাকব গ্রেগরি, অনুপমা পরমেশ্বরণ, নজর নাজিম। মুভিটির সময়কাল ছিল ১১০ মিনিট। সব থেকে বড় কথাটা হল এই মুভিটি কিন্তু মালায়ালাম ইন্ডস্ট্রীর সবার প্রিয় দুলকার সালমানের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে।

মুভিঃ মানিয়ারায়িলে অশোকান
ইন্ডাস্ট্রিঃ মালায়ালাম
ভাষাঃ মালায়ালাম
দেশঃ ভারত
রানটাইমঃ ১১০ মিনিট
রিলিজ সালঃ ২০২০
আইএমডিবি রেটিংঃ ৪.৬/১০
পার্সোনাল রেটিংঃ ৬.৫/১০
পরিচালকঃ সামজু জাইবা
প্রযোজকঃ দুলকার সালমান
কাস্টঃ জ্যাকব গ্রেগরি, অনুপমা পরমেশ্বরণ, নজর নাজিম
জনরাঃ কমেডি, রোমান্স

প্রধান চরিত্র

মুভির প্রধান এবং আকর্ষণীয় চরিত্রে দেখা যায় আশোকান নামে একজন সাধারণ নিষ্ঠাবান, বাদামি ত্বকের, খাটো এক গ্রাম্য তরুণের। আশোকান চরিত্রে অভিনয় করেছেন Jacob Gregory যাকে সাধারণত লিড রোলে তেমন একটা দেখা যায় না, তবে পার্শ্ব চরিত্রে খুব ভালো জনপ্রিয়তা রয়েছে। অপরদিকে অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যাবে ইয়াং জেনারেশনের জাতীয় ক্রাশ Anupama -কে। যেমন তার নিখুঁত অভিনয় তেমনি রয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য, দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অসংখ্য সফল মুভির অভিনয়ে।

আর দুইজন বিশেষ ব্যক্তির কথা না বললেই নয়, তারা হলো দুলকার সালমান এবং নাজরিয়া নাজিম। যদিও তারা এই মুভিতে ক্যামিও রোলে থাকছে অর্থাৎ গেস্ট তারকা হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য মুভিতে দেখা যাবে। তবে নাজরিয়া নাজিমের আগমনটা থাকছে একেবারে শকড করে দেয়ার মতো।

মানিয়ারায়িলে অশোকান মুভিটির প্লট

যদিও এভারেজ প্রত্যাশা নিয়ে মুভি দেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু একের পর এক ভিন্নতা আর রঙিন সব চরিত্র দেখে রীতিমতো হা হয়ে গেলাম। মুভির প্রথমেই দেখা মিলে উন্নিমায়া চরিত্রের একজন সুদর্শণা তরুণীর। যার পদধূলিতে গ্রামের সকল বয়সী মানুষ উপচে পড়ে তার রুপের ছন্দ দেখবে বলে। কিন্তু সবার মনের আকাঙ্খা মাটিচাপা দিয়ে এক পোস্টম্যান তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। আর হবেই বা-না কেন, সেই গ্রাম যে ভালোবাসায় উর্বর বলে খ্যাত। পূর্বপুরুষদের মতে এখানে ভালোবাসা তার আপন মহিমায় পরিস্ফুটিত হয় সকল বয়সী মানুষের মাঝে।

Related Post

 

বেশকিছু বছর পর আবারও দেখা যায় অন্য এক ভিন্ন প্রেমিকের প্রেমের গল্প। তবে সে উন্নিমায়ার মতো এত সোনায় সোহাগা কিংবা সবার নজর কাড়ার মতো আকর্ষণীয় না। বর্তমান আধুনিক রমণীদের মন জয় করার মতো নেই তার কোনো বিশেষ গুণাবলি। কিন্তু যা আছে তা হচ্ছে এক বিশাল হৃদয়, যেখানে ভালোবাসার ঠাঁই পেতে পারে কোন সুন্দরী রমণী কিংবা কোনও উদ্ভিদ কিংবা কোনও ছোট্ট শিশু। সসমবয়সী সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর এদিকে বেচারার বিয়ে না হওয়ায় সে বড্ড হতাশায় দিন কাটাতে থাকে৷ অথচ এদিকে একই গ্রামের শীমা নামের এক মেয়ে গোপনে তার প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছিল।

 

কাকতালীয় প্রেমের সুরে আচমকা তাদের ভাব হয়, ধীরেধীরে কাছে আসতে শুরু করে। আর প্রথম ভালোবাসায় বিয়ের প্রহর গুণতে শুরু করে। বিয়ের প্রস্তাবে প্রথম দফায় বাবা-মা রাজি রাজি না হলেও, নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সব ঠিকঠাক সাপেক্ষে নতুন করে বাঁধা আসে কুন্ডুলি থেকে। সে অনুসারে আশোকানের প্রথম স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে না, এমনকি স্ত্রীর মৃত্যুও হতে পারে। যা শোনার পর শীমা জ্ঞান হারিয়ে বিয়ের পিড়ি থেকে সরে দাঁড়ায়। সেই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে তৈরি হয় নতুন ভালোবাসার জাল। আসলেই কি তার প্রথম স্ত্রী মারা যায়? তবে দ্বিতীয় স্ত্রী কে হবে? সে কি আদৌও তার একাধিক বিবাহ মেনে নিতে পারবে কিংবা চাইলেই প্রথম প্রেম ভুলে যেতে পারবে? জানতে হলে দেখে নিতে হবে সম্পূর্ণ মুভিটি একনজরে।

আমার মতামত

মালয়ালম মুভি দেখার জন্য আমি অবশ্য আলাদাভাবে রেটিং কিংবা রিভিউ দেখতে নারাজ। আর সেখানে যদি থাকে দুলকার সালমানের হাত, তাহলে তো অবশ্যই আড়ালে রাখার প্রশ্নই আসে না। আশা করি হতাশ হবেন না, তবে অতিরিক্ত ভালোও বলব না। নিঃসন্দেহে একবার তো দেখায় যায়। কারণ এখানে পাবেন অসাধারণ সব অভিনয়, সিনেমাটোগ্রাফি, আর আকর্ষণ করার মতো কয়েকটা গান যা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।

This website uses cookies.